ঢাকাবুধবার , ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দৌলতখানে প্রণোদনার বীজ ও সার পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

admin
ডিসেম্বর ২০, ২০২৩ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ । ২০৬ জন

নিয়াজ মাহমুদ জয়, ভোলা:

ভোলার দৌলতখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি প্রণোদনার আওতায় ৭ হাজার ৩০০ জন কৃষককের মধ্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের আবাদ করতে শুরু করেছেন কৃষকরা। বীজ ও সার কিনতে না হওয়ায় তাই হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

গত বুধবার দৌলতখান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় এবার সরকারি প্রণোদনার আওতায় রবি মৌসুমে ৩ হাজার ৮০০ জন কৃষককের মধ্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। বোরো উফশী ধান ২ হাজার ৫০০ জন কৃষকে দেওয়া হয়েছে। এবং বীজ সহায়তা বোরো হাইব্রিড ১ হাজার প্রনোদনার মধ্যে- বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে কৃষককে।

এছাড়া সরিষার বীজ, ভুট্টার বীজ, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, চিনা বাদামের বীজ, মুগ ডালের বীজ, খেসারী ডালের বীজ, গমের বীজ, সার সহ কৃষককে দেওয়া হয়েছে।

চরখলিফা ইউনিয়নের কৃষক শাজাহান সরকার বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরিষার বীজ ও সার পেয়েছিলাম। এবার এক বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। ভালো ফলন পেয়েছি।

উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ মনির বলেন, ধান কাটার পরে চাষ ছাড়াই জমিতে সরিষা বপন করা যায়। সরিষা ‍উৎপাদনে খরচ খুবই কম আর সময়ও কম লাগে। সরকারি সার ও বীজ পাওয়ায় আমাদের এলাকায় সরিষা চাষ বেশি হচ্ছে। সরকার আমাদের মতো সাধারণ কৃষকদের জন্য সদয় হয়েছেন।

চরখলিফা ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, এবছর কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও চাষের জন্য সার পেয়েছি। ১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর ফুল চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে।

সৈয়দপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ মিন্টু মিয়া বলেন, প্রণোদনার বীজ ও সার পেয়েছি। এবছর আমি ধান চাষ করেছি। বিগত বছর আমি আমার জমিতে চাষাবাদে তেমন কোন ফলন পাইনি এবার কৃষি প্রণোদনা পেয়ে আশাবাদী ভালো ফলন পাবো।

একই ইউনিয়নের সোলাইমান, নজরুল, লাল মিয়া, মোঃ কামাল, মোঃ নাছির মতো অনেক কৃষক এবছর সরকারি প্রণোদনা প্রাপ্ত বীজ থেকে সরিষার আবাদ করেছেন।

উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নে কৃষকরাও গম, সরিষা, সূর্যমুখী, ভুট্টা, চিনাবাদাম, মুগ, মসুর, ধানসহ বিভিন্ন আবাদ করছেন।

দৌলতখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়রা সিদ্দিকা বলেন, প্রণোদনায় কৃষকরা বেশ উপকৃত হচ্ছেন। গতবছর সরিষা ও গম আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, ভোলায় জেলা জুড়ে ৮০ হাজার ৫৯০ জন কৃষক ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি প্রণোদনায় কৃষকরা বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার পেয়েছেন। ইতোমধ্যে কৃষকরা এসব বীজ দিয়ে মাঠে চাষাবাদ করছেন। বিনামুল্যে এসব বীজ ও সার পাওয়ায় কৃষকরা বেশ উপকৃত হয়েছেন। আগামীতে এসব ফসলের আবাদ আরো বাড়বে।