ঢাকারবিবার , ৩ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোলায় ২২ লক্ষ মানুষের জন্য নেই ব্লাড ব্যাংক

তুহিন খন্দকার
মার্চ ৩, ২০২৪ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ । ১৪২ জন

তুহিন খন্দকার, ভোলা:
তিন হাজার চার শত তিন বর্গমাইলের নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলা। প্রায় ২২ লক্ষ মানুষের বসবাস। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর ২৫০ সয্যা হাসপাতাল একমাত্র ভরসা। এই জেলায় ব্লাড ব্যাংক না থাকায় রুগি ও স্বজনরা রক্তের প্রয়োজনে অসহায় হয়ে পড়ে।

কোন হাসপাতাল বা ইনস্টিটিউটে যতটুকু রক্তের প্রয়োজন তার থেকে বেশি রক্ত মজুদ থাকলে সাধারণত ২১ দিন ধরে জমা রাখা সম্ভব।

ভোলা জেলার কোথাও ব্লাড ব্যাংক না থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষের।
প্রয়োজনের সময় এক ব্যাগ রক্ত জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় এজেলার অধিকাংশ রোগীদের।

ভোলায় স্বল্প কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে রক্তদাতা ডোনারের তালিকা রয়েছে। বাস্তবতা হলো, প্রয়োজনের সময় এসকল ডোনারদের খুঁজে পেতে জামেলা পোহাতে হয়।
ভোলা জেলার সাত উপজেলায় একটিও ব্লাড ব্যাংক না থাকায় সংকট দিনদিন তীব্রই হচ্ছে। এ মুহূর্তে ভোলায় জরুরি ভিত্তিতে একটি ব্লাড ব্যাংক প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থায়নীয় বাসিন্দারা।

ভোলা জেলার প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। পাশাপাশি ভোলা সদরে ২৫০ সয্যার আধুনিক হাসপাতালে অভিজ্ঞ ডাক্তার ও সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার ফলে এখানে অধিকাংশ রোগীদের অপারেশন হয়ে থাকে। ভালো চিকিৎসার আশায় ভোলা সদরের ২৫০ সয্যার হাসপাতালে এসে রক্তের অভাবে অনেক সময় রুগীরা এখানে অপারেশন না করিয়ে বরিশাল কিংবা ঢাকায় চলে যেতে বাধ্য হয়।

ট্রাক ড্রাইভার মিরাজ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। জরুরি ভিত্তিতে দুই ব্যাগ এ পজেটিভ রক্ত ম্যানেজ করে রাখতে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রোগীর স্বজনরা রক্ত জোগাড় করতে বেশকিছু সংস্থা ও ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে যোগাযোগ করে।
কিন্তু পরদিন বিকেল পর্যন্ত কোথাও এ পজেটিভ রক্ত জোগাড় করতে পারেনি। ২দিন পরে বিকেলের দিকে পরিচিত একজন রক্ত দিতে আগ্রহী হয়।

আপর দিকে গর্ভবতী রাবেয়া ভোলা সদর হাসপাতালে আসেন। বাচ্চা প্রসবের পর শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তার দুই ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে বলোন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ডোনার ম্যানেজ করে এক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে পারে রাবেয়ার স্বামী।

ভোলা সদর হাসপাতাল গাইনি ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স জুয়েল আক্তার জানান, অন্যান্য জেলার মত ভোলায় যদি ব্লাড ব্যাংক থাকতো তাহলে রক্তের জন্য রোগীর স্বজনদের ভুগতে হতোনা।

ভোলার জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার কে এম শফিকুজ্জামান জানান, নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত ভোলা জেলা। ভোলা সদর হাসপাতালে রোগীদের অপারেশন হয়। এখানে ব্লাড ব্যাংক খুব জরুরী। ভোলায় একটি ব্লাড ব্যাংক স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে জানানোর আশ্বাস প্রদান করেন এই কর্মকর্তা।