ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিনে রাতের আঁধারে জমি দখল কে কেন্দ্র করে বসত করে উক্তি সংযোগ ও হামলা চালিয়ে শিশু কন্যা সহ তিন নারীকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার ৩১ জানুয়ারি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ৪নং কাচিয়া ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের কালুগো বাড়ি এঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার আহতরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাচিয়া ইউনিয়নের চকঢোষ মৌজার এস এ ১৮০ ও ৩৮৩৮ নং দাগের ৩২ শতাংশ জমি নিয়ে শাহাবুদ্দিন গং ও ইব্রাহিম গং এর মাঝে বিরোধ চলে আসছে। ২০১২ সালের দিকে ওই বিরোধপূর্ণ জমি ইব্রাহিম জনৈক ফিরোজ আলম এর কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু শাহাবুদ্দিন গং ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা শর্তে ওই জমি দখলে রাখেন। এ বিষয়ে এলাকায় দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করেও উভয় পক্ষ কোন সমাধানে আসতে পারেনি। কয়েকদিন পূর্বে শাহাবুদ্দিন গং বিরোধপূর্ণ জমি দখলে রাখতে ওই জমিতে একটি ঘর উত্তোলন করেন।
ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইব্রাহিমে কাছ থেকে ক্রয় শর্তে মালিকানা দাবি করে গত বুধবার রাতের আঁধারে ফিরোজ আলমের নেতৃত্বে ইব্রাহিম, গিয়াস উদ্দিন, মান্নান, মিরাজসহ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ মুখে কালো কাপড় বেঁধে বগি দা, রাম দা,লোহার পাইপ নিয়ে জমিতে উত্তলিত টিনের ঘরটি ভেঙে পিকাপ ভ্যানে করে নিয়ে যায়। আসবাবপত্র কেরোসিন ঢেলে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে লোহার রড ও জি আই পাইপ দিয়ে জানু বেগম, সেপু বেগম, পেয়ারা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হামলাকারীরা শাহাবুদ্দিনের বসতঘরের রান্না ঘরের মেঝে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ঘরে থাকা শাহাবুদ্দিনের ১২ বছরের শিশু সুমাইয়া ডাক চিৎকার দিলে হামলাকারীরা শিশুকন্যাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে জানান শিশুর পরিবার। ওই ঘটনায় একাধিকবার ট্রিপল নাইনে ফোন করে থানা পুলিশের সহায়তা চাইলেও কোন সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেন হামলা আহত পরিবার।
এ বিষয়ে ও বিযুক্ত ফিরোজ আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, শাহাবুদ্দিন গং দীর্ঘদিন তার জমি দখল করে রেখেছে। কয়েকদিন আগে ওই জমিতে শাহাবুদ্দিন গং টিনের ঘর উত্তোলন করায় তিনি ঘর ভেঙে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান অভিযুক্ত ফিরোজ আলম। শাহাবুদ্দিন গং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষগন জীবিকার তাগিদে প্রবাসে থাকায় নারীদের উপর এমন ন্যাক্কার জনক হামলার নিন্দা জানান এলাকাবাসী।