ঢাকাসোমবার , ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিয়ের নামে প্রতারণা করে তিন বছর ধরে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২০, ২০২৩ ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ । ১৯০ জন

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখান উপজেলায় বিয়ের নামে প্রতারণা করে এক নারীকে তিন বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ভিকটিমের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত মো. কামাল (৩০) নামে এক যুবক।

সোমবার (২০নভেম্বর ) সকালে ভিকটিম ওই নারী তার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম জানান, প্রায় ১০ বছর আগে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় (২৭) বছরের ওই নারীর। তিনি এক সন্তানের জননী। ভিকটিম নারী ঢাকার মহাখালী একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে কাজ করতেন।
সেখানে কাজ করার সময় অভিযুক্ত কামলের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রে কামাল ভিকটিম নারীর কর্মরত প্রাইভেট ক্লিনিকে তার মাকে ডাক্তার দেখাতে যান। ভিকটিম নারী ও কামালের গ্রামের বাড়ী একই এলাকায় হওয়ায় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তাদের গ্রামের বাড়ী ভোলা দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম জয়নগর এলাকায়। কামাল ওই এলাকার ছালেম ব্যাপারির ছেলে।

কামাল তার মায়ের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখাতে প্রায়ই ঢাকায় ভিকটিমের বাসায় থাকতেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া করে তার সঙ্গে ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় প্রায় তিন বছর ধরে সংসার ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ওই নারীর টাকায় কামাল তার মায়ের চিকিৎসাসহ নানা অযুহাতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। কামাল গত বছর কক্সবাজার নিয়ে ভিকটিমকে ৫ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে করে হানিমুন কেরেন এবং বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে কামাল স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রি যাপন করতেন। সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম নরী কামালের সাথে তার অন্তরঙ্গ মূহুর্তের কিছু ছবি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন।
কিছু দিন পূর্বে ভিকটিম ওই নারী জানতে পারে কামাল গ্রামের বাড়ী এসে পূনরায় বিয়ের জন্য পাত্রির খোঁজ করছে। ওই সংবাদ শুনে ভিকটিম ঢাকা থেকে পশ্চিম জয়নগর এলাকায় (১২ নভেম্বর) রাতে কামালের বাসায় উঠলে কামাল তাদের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরদিন স্থানীয় চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন বাচ্চু বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে ভিকটিক তার বাড়ী চলে যায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কামাল আত্মগোপনে রয়েছে। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন সমাধান না হওয়ায় ভিকটিম বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

এবিষয়ে দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন বাচ্চু জানান, ছেলে এবং মেয়ে উভয় আমার এলাকার, ঘটনা সমাধানের তারিখ দেওয়া হয়েছে। কামাল জরুরী কাজে পটুয়াখালী থাকায় সমাধানে বসতে পারিনি।

অভিযুক্ত কামাল আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কামালের বাবা ছালেম ব্যাপারি জানান, তার ছেলে বিয়ে করেনি, ভিকটিম নারী পুনরায় তার বাসায় আসলে কুপিয়ে হত্যা করা হবে বলে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করেন।
বর্তমানে ওই নারী নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে। ওই ঘটনায় ভোলার আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে ভোলার আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন।