সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও বিয়ানীবাজারে পুলিশের অভিযানে ১৭ জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে দক্ষিণ সুরমা থেকে ১১ ও বিয়ানীবাজার থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ জুলাই) রাত সোয়া ১০টা দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ বাবনা জিঞ্জিরশাহ মাজার, ক্বীন ব্রিজের নিচে এবং চাঁদনীঘাট মাছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরী দক্ষিণ সুরমা থানার ভার্থখলার মো. হারুন মিয়া’র ছেলে সোহাগ মিয়া (২২), নগরীর চাঁদনীঘাটের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে সালেক মিয়া (৪০), কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার নওদা কল্যাণপুর এলাকার মৃত মকছেদ সরদারের ছেলে বর্তমানে মেটাল প্লাস, কদমতলী আমিরুল ইসলাম (৪০),দক্ষিণ সুরমা লালাবাজার ইউনিয়নের বাহাপুর গ্রামের মৃত রইছ আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়া (৪০), সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার, সাং-আনন্দপুর, বর্তমানে- মুছারগাঁও, তাজুল মিয়ার কলোনী মৃত ননি গোপাল রায়ের ছেলে রণরায় (৩৮), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার শিমুলতলা গ্রামের ইছাক আলীর ছেলে বর্তমানে জেলরোড, মুর্শেদের বাড়ীর আলম (২৫), গোলাপগঞ্জ থানার রফিপুর, নোয়াবাড়ীর রুয়াব আলীর ছেলে খালেদ আহমদ (২৬), গোলাপগঞ্জ থানার রফিপুর, নোয়াবাড়ীর ওয়ারিছ আলীর ছেলে রাজন মিয়া (২০), ওসমানীনগর উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মৃত সাজিদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল কালাম (৪৭), সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার দাওরাই গ্রামের বর্তমানে বালুচর, থানা-শাহপরান (রহ:) মহেশ সূত্রধরের ছেলে সজল সুত্রধর (৩৮), দক্ষিণ সুরমা থানার নগরীর চাঁদনীঘাটের বীরেন্দ্র পালের ছেলে নিখিল পাল (৪৫)কে জুয়া খেলার স্থান হইতে জুয়া খেলার সামগ্রীসহ আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা, পিপিএম।
এদিকে, বিয়ানীবাজারের মাথিউরা এলাকা থেকে ৬ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ানীবাজার থানার এসআই শাহ মোহাম্মদ হিমেল, পাবেল আহমদ ও নাজমুল ইসলাম মামুন তাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ এলাকার আব্দুল করিমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় ঘরের বারান্দায় প্রকাশ্য জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে ৬ জনকে আটক করেন।
আটকৃতরা হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার উলুউরি গ্রামের ছয়েফ আহমদ, গাংকুল গ্রামের কুতুব আলী, শানেশ্বর গ্রামের নাসির উদ্দিন, নন্দিশ্বর গ্রামের মারুফ আহমদ, বড়লেখা উপজেলার পাকশাইল গ্রামের জাবেদ হাসান, শানেশ্বর গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম।
এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার ২৬৪ টাকা, ৫ বান্ডেল তাস এবং জুয়া খেলায় ব্যবহৃিত মালামাল জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় এসআই শাহ মোহাম্মদ হিমেল বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের মধ্যে ৬ জনকে আটক করা হলেও বাড়ির মালিক মৃত হাসিব আলীর ছেলে আব্দুল করিম পালিয়ে যান।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, মাদক ও জুয়ার বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স। থানায় এলাকা মাদক ও জুয়া মুক্ত রাখতে পুলিশের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
